Root কথার অর্থ হল শিকড় । android হল একটি software ।
অতএব android software এর শিকড় পৌচ্ছাণো হল "ROOTING"।
রুটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনে, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য ডিভাইসে চলমান অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সুপার ইউসার বানিয়ে দেয়া হয়। একজন সুপার ইউসার হওয়ার মাধ্যমে ব্যবহারকারী অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর সকল কাজ নিয়ন্ত্রন করতে পারেন। অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে, একটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বিশিষ্ট ডিভাইসকে রুট করার মাধ্যমে লিনাক্স অথবা অন্যান্য ইউনিক্স নির্ভর অপারেটিং সিস্টেমের মতো সুপার ইউসার হওয়া যায়।
রুটিং প্রায় সময়ই ফোন প্রস্তুতকারকদের দ্বারা প্রদানকৃত সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়। কারন, রুট করার মাধ্যমে সিস্টেম অ্যাপ্লিকেশন অথবা সেটিং বদলানো যায়, কিছু বিশেষ অ্যাপ চালানো যায় অথবা এমন কিছু কাজ করা যায় যা রুট করা ছাড়া একজন সাধারন ব্যবহারকারী করতে পারে না। এমনকি রুট করার মাধ্যমে ডিভাইসের বর্তমান অপারেটিং সিস্টেম প্রতিস্থাপন করা বা সম্পূর্ণ ভাবে মুছে ফেলা যেতে পারে।
রুট এক্সেস মাঝে মাঝে জেলব্রেকিং এর সাথে তুলনা করা হয়, যা অ্যাপল এর iOS অপারেটিং সিস্টেম সিস্টেম দ্বারা চালিত ডিভাইস সমুহে করা হয়ে থাকে। যাইহোক, এদের ধারনা আলাদা। জেলব্রেকিং এর মাধ্যমে অ্যাপেল এর দেয়া কিছু নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা হয়, যার মধ্যে অপারেটিং সিস্টেম পরিবর্তনও রয়েছে (এক্ষেত্রেও বুটলোডার দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা হয়) । জেলব্রেকিং এর মাধ্যমে অফিসিয়ালি অনুমোদন দেয়া হয়নি, এমন অ্যাপ ব্যবহার করা যায় (সাইডলোড) এবং ব্যবহারকারীকে সিস্টেম পরিবর্তনের কিছু বিশেষ ক্ষমতা দেয়া হয়। শুধুমাত্র সংখ্যালঘু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের বুট লোডার লক করা থাকে এবং অনেক বিক্রেতারাই যেমন HTC, সনি, আসুস এবং গুগল আনলক করার ক্ষমতা প্রদান করে, এমনকি অপারেটিং সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করে ফেলাও! [১][২][৩] সাইডলোড দ্বারা যেসব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করার ক্ষমতা পাওয়া যায়, তার বেশির ভাগ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে রুট করা ছাড়াই পাওয়া যায়।