12 Aug
12Aug

বৈধতা

আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহ, যেসব আইন রুটিংকে প্রভাবিত করে সেসব আইনকে প্রভাবিত করছে। ১৯৯৬ বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি সংস্থা (WIPO) কপিরাইট চুক্তি-তে রাষ্ট্র সমুহকে ডিআরএম প্রতারণার বিরুদ্ধে আইন প্রনয়নের কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট অ্যাক্ট (DMCA), যাতে কপিরাইট অলঙ্ঘঙ্কারি বিষয় যেমনঃ রুটিং; প্রতিষ্ঠার জন্য একটি প্রক্রিয়া রয়েছে। ২০০১ সালে ইউরোপিয়ান কপিরাইট নির্দেশিকা ইউরোপে বাস্তবায়িত চুক্তি অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর প্রযুক্তিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা জন্য আইনি সুরক্ষা বাস্তবায়ন প্রয়োজন। কপিরাইট নির্দেশিকায় নন-কপিরাইট লঙ্ঘনকারীর উদ্দেশ্যে ছাড় রয়েছে, যেমন বিকল্প সফটওয়্যার চালানো। কিন্তু, সদস্য রাষ্ট্র গুলো আইন বাস্তবায়ন করায় তারতম্য লক্ষ্য করা যায়।

ভারত

ভারতের কপিরাইট আইন নন-কপিরাইট লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ডিআরএম প্রতারণার অনুমতি প্রদান করে। উদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর ট্যাগ সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছেউদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর ট্যাগ সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে ভারতীয় সংসদ এই ডিআরএম সংক্রান্ত বিধান, একটি বিল সহকারে ২০১০ সালে সকলের সামনে উপস্থাপন করে এবং ২০১২ সালে সে বিল, কপিরাইট (সংশোধন) বিল ২০১২ নামে পাশ করা হয়। উদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর ট্যাগ সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে ভারত ডব্লিওআইপিও কপিরাইট চুক্তি সাক্ষর করে নি। এ চুক্তিতে ডিআরএম প্রতারনায় কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু মার্কিন স্পেশাল ৩০১ রিপোর্ট এর "পিরিওটি ওয়াচ লিস্ট" এ নাম থাকার কারনে কপিরাইট আইন ভঙ্গকারীদের সঙ্গে কঠোর হওয়ার জন্য তাদের প্রতি চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। উদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর ট্যাগ সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে উদ্ধৃতি ত্রুটি: শুরুর ট্যাগ সঠিক নয় বা ভুল নামে রয়েছে

অস্ট্রেলিয়া

২০১০ সালে, ইলেক্ট্রনিক ফ্রন্টিয়ারস অস্ট্রেলিয়া বলে, এটি স্পষ্ট নয় যে রুটিং আইনি ভাবে বৈধ কিনা এবং এক্ষেত্রে বিরোধী প্রতারণা আইন প্রযোজ্য হতে পারে.এই আইন কপিরাইট সংশোধনী আইন, ২০০৬ দ্বারা জোরদার করা হয়েছিলো।

কানাডা

২০১২ সালের নভেম্বরে কানাডা তাদের সংশোধিত কপিরাইট আইনের সঙ্গে নতুন বিধান যুক্ত করে। এতে ডিজিটাল লকের সঙ্গে গরমিল নিষিদ্ধ করা হয়। সফটওয়্যার আন্তঃক্রিয়ার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। ডিভাইসে কোন বিকল্প সফটওয়্যার চালনার জন্য রুট করা সফটওয়্যার আন্তঃক্রিয়ার উদ্দেশ্যে ডিজিটাল লকের সাথে গরমিল করার অন্য রূপ।

২০০৮-২০১১ -তে কপিরাইট আইন (বিল সি-৬০, বিল সি-৬১, এবং বিল সি-৩২) সংশোধন করতে করতে বেশ কয়েকবার প্রচেষ্টা করা হয়। এসব প্রচেষ্টা চালানো হয় ডিজিটাল লকের সঙ্গে গরমিল নিষিদ্ধ করার জন্য। প্রাথমিক প্রস্তাবের সঙ্গে সি-১১ ছিল সবচাইতে নিয়ন্ত্রণমূলক কিন্তু পরবর্তীতে এসব বিল নাকচ করা হয়। ২০১১ সালে মাইকেল গেইস্ট, একজন কানাডিয়ান কপিরাইট পণ্ডিত আইফোনে জেলব্রেকিংকে একটি অ-কপিরাইট-সংক্রান্ত কার্যকলাপ হিসাবে চিহ্নিত করেন। 

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ফ্রি সফটওয়্যার ফাউন্ডেশন ইউরোপ যুক্তি দেখিয়েছে, কোন ডিভাইস রুট অথবা ফ্লাস করা আইনি ভাবে বৈধ। ইউরোপীয় নির্দেশিকা 1999/44/CE অনুযায়ী আসল অপারেটিং সিস্টেম অন্য কোন অপারেটিং সিস্টেম দ্বারা প্রতিস্থাপন করলে তা প্রস্তুতকারক কতৃক প্রদানকৃত হার্ডওয়্যার ওয়ারেন্টি ভঙ্গ করে না, যতক্ষণ পর্যন্ত বিক্রেতা প্রমান করতে পারে যে ব্যবহারকারীর সফটওয়্যার জনিত পরিবর্তনের কারনেই হার্ডওয়্যারের ক্ষতি হয়েছে। 

যুক্তরাজ্য

Copyright and Related Rights Regulations 2003 আইন আন্তক্রিয়ার উদ্দেশ্যে ডিআরএম সুরক্ষা ব্যবস্থার সাথে প্রতারনা করা আইনি ভাবে বৈধ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কপিরাইট আইন ভঙ্গ করা যাবে না। রুটিং ও এক ধরণের প্রতারনা, যা এ আইনের আওতায় পড়ে। কিন্তু এই আইন এখনো আদালতে পরীক্ষা করা হয়নি। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রেও এই আইন প্রাসঙ্গিক হতে পারে। [আরও দেখুন উপরের "ইউরোপীয় ইউনিয়ন" বিভাগে।


নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ড এর কপিরাইট আইন ব্যবহার করতে পারবেন প্রযুক্তিগত সুরক্ষা পরিমাপ (TPM) প্রতারণা পদ্ধতি হিসাবে দীর্ঘ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য আইনি, নন-কপিরাইট লঙ্ঘনকারী উদ্দেশ্যে। এই আইন যোগ করা হয়েছিল কপিরাইট আইন ১৯৯৪-এর অংশ হিসাবে কপিরাইট (নতুন প্রযুক্তি) সংশোধনী আইন, ২০০৮।

সিঙ্গাপুর

সিঙ্গাপুরে রুটিং-এর আইনি ভাবে অনুমোদন রয়েছে যদি তা কপি রাইট আইন ভঙ্গ না করে। তবে এখনো আদালতে পরীক্ষা করা হয়নি। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 

আনলকিং কনজুমার চয়েস অ্যান্ড ওয়্যারলেস কম্পিটিশন আইন নিশ্চয়তা দেয় যে, ব্যবহারকারিরা তাদের ফোন আনলক করতে পারবেন অথবা আনলক করতে দিতে পারবেন। ডিএমসিএ এর আওতায় রুটিং করা অ্যামেরিকায় অবৈধ, তবে কিছু অব্যাহতি রয়েছে। মার্কিন কপিরাইট অফিস কমপক্ষে ২০১৫ পর্যন্ত এই আইনকে অব্যাহতি প্রদান করেছে।

২০১০ সালে ইলেক্ট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশন এর একটি অনুরোধের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মার্কিন কপিরাইট অফিস ডিএমসিএ কে স্পষ্ট ভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে রুটিং করার জন্য। তাদের লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস ২০১০ সালের ২৬ জুলাই জানায় যে, রুটিং ডিএমসিএ এর ডিজিটাল লকের সাথে গরমিল করার আইন থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। ডিএমসিএ এর আইন গুলো প্রতি তিন বছর পর পর পর্যালোচনা অথবা নবায়ন করতে হয়, অন্যথায় সেসবের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে পড়ে।

অক্টোবর ২৮, ২০১২ এ মার্কিন কপিরাইট অফিস তাদের অব্যাহতি নীতি হালনাগাদ করে। স্মার্টফোন রুট করা আইনত ভাবে বৈধ থাকবে "যেখানে অ্যাপ্লিকেশন এর আন্তঃপরিচালনা করার উদ্দেশ্যেই প্রতারনা করা হয়"। যাইহোক, মার্কিন কপিরাইট অফিস ট্যাবলেট-এর জন্য এই অব্যাহতি প্রসারিত করতে প্রত্যাখ্যান করেন। তাঁরা যুক্তি দেন যে "ট্যাবলেট" বিস্তৃত এবং অসংজ্ঞায়িত, এবং এই ধরণের ডিভাইসের জন্য অব্যাহতি প্রদান করলে তার অনিচ্ছাকৃত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। এছাড়াও কপিরাইট অফিস অনুমোদন না পাওয়া ক্যারিয়ারে আন-অফিসিয়ালি আনলক করা ফোন ব্যবহার করার জন্য ২০১০ অব্যাহতি আইন নবায়ন করে। কিন্তু জানুয়ারি ২৬, ২০১৩ এর আগে ক্রয় করা ফোনের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য নয়।

কলোম্বিয়া আইন স্কুলের অধ্যাপক টিম উ ২০০৭ সালে যুক্তি প্রদান করেন যে, জেলব্রেকিং আইনি ভাবে বৈধ, নৈতিক, এবং শুধু সাধারণ মজা করার সামিল। উ একটি স্পষ্ট অব্যাহতি উদাহৃত করেন, যা ব্যক্তিগত আনলকিং এর জন্য ২০০৬ সালে লাইব্রেরী অফ কংগ্রেস দ্বারা জারি করা হয়। সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, "যেসব লক অপারেটররা গ্রাহকদের অন্য অপারেটরে সরে যাওয়ার সুবিধা কমিয়ে দেয় এবং যা তার বিহীন ভাবে নিয়ন্ত্রন করা হয়, যা সম্পূর্ণ একটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে করা হয়, সেসব লকের সাথে কপিরাইট এবং ডিএমসিএ এর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই"। উ দাবি করেন নি যে, এই অব্যাহতি যারা অন্যকে আনলক করতে সাহায্য অথবা সেরকম করার জন্য সফটওয়্যার এ ট্রাফিক। ২০১০ এবং ২০১২ সালে মার্কিন কপিরাইট অফিস একটি অব্যাহতি অনুমোদন দেয়, যাতে ডিএমসিএ ব্যবহারকারীদের আইনি ভাবে তাদের ডিভাইস রুট করার অনুমতি দেয়। কিন্তু এখনো রুটিং বন্ধ করা বা রুট করা ফোন কাজ করা থেকে বিরত রাখার জন্য প্রযুক্তিগত পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। এছাড়াও এটি এখনো স্পষ্ট নয় যে রুটিংকে সহজ করতে যেসব সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়, সেসব নিয়ে নাড়াচাড়া করা আইনি ভাবে বৈধ কিনা।

Comments
* The email will not be published on the website.
I BUILT MY SITE FOR FREE USING